বাংলাদেশের নদ-নদী সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান ও প্রশ্ন উত্তর সকল পরীক্ষার জন্য গুরুত্ব পূর্ণ । আপনার যে কোন চাকরির পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশের নদ-নদী সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান ও প্রশ্ন উত্তর সম্পর্কে জ্ঞান রাখুন। এই পেজে দেওয়া বাংলাদেশের নদ-নদী সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান যে কোন পরীক্ষায় আসার মত। তাই সকল প্রশ্ন ও উত্তর মনোযোগ দিয়ে দেখুন।
সার সংক্ষেপ
বাংলাদেশের নদ-নদী সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান
০১। বাংলাদেশের প্রধান প্রধান নদ নদীর নাম কি কি ?
উত্তরঃ পদ্মা , মেঘনা , যমুনা , ব্রহ্মপুত্র , কর্ণফুলী , সুরমা ও মধুমতি ইত্যাদি।
০২। শাখা প্রশাখা সহ বাংলাদেশের নদ-নদীর সংখ্যা কত?
উত্তরঃ ২৩০ টি
০৩। বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদী কোনটি?
উত্তরঃ সুরমা (দৈর্ঘ্য ৩৯৯ কিলোমিটার)
০৪। বাংলাদেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী কোনটি?
উত্তরঃ পদ্মা নদী (দৈর্ঘ্য ৩৬৬ কিলোমিটার)
০৫। বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদ কোনটি?
উত্তরঃ ব্রহ্মপুত্র (বাংলাদেশের একটিমাত্র নদ)
০৬।বাংলাদেশের প্রশস্ত নদী কোনটি?
উঃ যমুনা।
০৭। বাংলাদেশের খরস্রোতা নদী কোনটি?
উঃ কর্ণফুলী ।
০৮। বাংলাদেশ ও মায়ানমারকে বিভক্তকারী নদী কোনটি?
উঃ নাফ।
০৯। নাফ নদীর দৈর্ঘ্য কত?
উঃ ৫৬ কি. মি. ।
১০।বাংলাদেশ ও ভারতকে বিভক্তকারী নদী কোনটি?
উঃ হাড়িয়াভাঙ্গা।
১১। দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপটি কোন নদীর মোহনায় অবস্থিত?
উত্তরঃ সাতক্ষীরা জেলার হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর ।
১২। ভারত কোন নদীর ওপর ফারাক্কা বাধ তৈরি করেছে?
উত্তরঃ গঙ্গা ৷
প্রশ্নঃ মেঘনা নদীর উৎপত্তিস্থল কোথায়?
উত্তর আসামের লুসাই পাহাড়ে।
১৩। উৎপত্তিস্থলে মেঘনার নাম কী?
উত্তরঃ বরাক নদী।
১৪। কোন নদী বাংলাদেশের ভেতরে দুই ভাগ হয়ে কিছু দূর প্রবাহিত হয়ে পুনরায় মিলিত হয়?
উত্তরঃ মেঘনা ।
১৫। দুই ভাগ হয়ে মেঘনা কী কী নামে প্রবাহিত হয়?
উত্তরঃ সুরমা ও কুশিয়ারা ।
১৬। সুরমা ও কুশিয়ারা নদী কোথায় মিলিত হয়ে মেঘনা নদী নাম ধারণ করে?
উঃ ভৈরব বাজারের নিকট (পরীক্ষায় আসলে আজমেরীগঞ্জ উত্তর দিতে হবে)।
১৭। সুরমা ও কুশিয়ারা পুনরায় মিলিত হয়ে কী নাম ধারণ করে?
উত্তরঃ কালনি ।
১৮। কালনি কোথায় পুনরায় মেঘনা নাম ধারণ করে?
উত্তরঃ ভৈরব বাজারের নিকট (বিঃদ্রঃ যে কোন পরীক্ষায় আসলে আজমিরিগঞ্জ দিতে হবে।)
১৯। মেঘনা নদী কোথায় পতিত হয়েছে?
উত্তরঃ বঙ্গোপসাগরে ।
২০। বাকল্যান্ড বাঁধ কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
উত্তরঃ বুড়িগঙ্গা (১৮৬৪ সালে)।
২১। পদ্মা নদী মেঘনার সাথে মিলিত হয়েছে কোথায়?
উত্তরঃ চাঁদপুর ।
২৩। যমুনা নদী পদ্মার সাথে মিলিত হয়েছে কোথায়?
উত্তরঃ গোয়ালন্দ ।
২৪। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী মেঘনা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে কোথায়?
উত্তরঃ ভৈরব বাজার ।
২৫। বাঙালী নদী যমুনা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে কোথায়?
উত্তরঃ বগুড়া ।
২৬। রূপসা নদীর সাথে ভৈরব নদী মিলিত হয়েছে কোথায়?
উত্তরঃ খুলনা ।
২৭।তিস্তা নদী ব্রহ্মপুত্র নদীর সাথে মিলিত হয়েছে কোথায়?
উত্তরঃ কুড়িগ্রামের চিলমারীতে।
২৮। বাংলাদেশের জলসীমার উৎপত্তি ও সমাপ্তি নদী কোনটি?
উঃ হালদা ও সাঙ্গু ।
২৯। হালদা নদীর উৎপত্তি স্থল কোথায়?
উত্তরঃ খাগড়াছড়ির বাদনাতলী পর্বত শৃঙ্গ থেকে।
৩০।বাংলাদেশ হতে ভারতে গিয়ে পুনরায় বাংলাদেশে প্রবেশকারী নদীগুলো কী কী?
উত্তরঃ আত্রাই, মহানন্দা (পুনর্ভরা, টাঙ্গন)।
৩১। কাটাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ কর্ণফুলী নদীর ওপর ।
৩২। কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হয় কবে?
উত্তরঃ ১৯৬২ সালে।
৩৩। কোন নদীতে বাঁধ দিয়ে কৃত্রিম হ্রদ তৈরি করা হয়েছে?
উত্তরঃ কর্ণফুলী নদীতে।
৩৪। জোয়ার ভাটা হয় না কোন নদীতে?
উত্তরঃ গোমতী নদীতে ।
৩৫। গোমতী নদীকে কি বলা হয়?
উত্তরঃ কুমিল্লার দুঃখ ।
৩৬। বাংলাদেশের মোট অভিন্ন বা আন্তঃসীমান্ত নদী কতটি?
উত্তরঃ ৫৮টি।
৩৭। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে অভিন্ন নদী কতটি?
উত্তরঃ ৫৫টি।
৩৮ঃ ভারত হতে বাংলাদেশে আসা নদী কতটি?
উঃ ৫৫টি
৩৯। মায়ানমার থেকে আসা অভিন্ন নদী কতটি?
উঃ ৩টি । যথাঃ নাফ, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী ।
৪০। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক নদীর সংখ্যা কতটি?
উত্তরঃ ১টি (পদ্মা/গঙ্গা)।
৪১। বাংলাদেশ হতে ভারতে প্রবেশকারী নদী কতটি?
উত্তরঃ ১টি (কুলিখ) ।
৪২। কোন নদীটি একজন ব্যক্তির নামে নামকরণ করা হয়?
উত্তরঃ রূপসা (রূপ লাল সাহার নামে)।
৪৩ যমুনা নদীর পূর্ব নাম কী?
উত্তরঃ জোনাই নদী ।
৪৪। বুড়িগঙ্গা নদীর পূর্বনাম কী?
উত্তরঃ দোলাই নদী (দোলাই খাল) ।
৪৫। ব্রহ্মপুত্র নদীর পূর্বনাম কী?
উত্তরঃ লৌহিত্য।
৪৬। পদ্মা নদীর পূর্বনাম কী?
উত্তরঃ কীর্তিনাশা।
৪৭। পদ্মা নদীর শাখা নদী কোনটি?
উত্তরঃ মধুমতি, আড়িয়াল খাঁ, ভৈরব, কপোতাক্ষ, গড়াই, বড়াল, ইছামতি, কুমার, মাথাভাঙ্গা।
৪৮। পদ্মার উপ-নদী কী কী?
উত্তরঃ মহাগঙ্গা, টাঙ্গন, পুনর্ভবা, নগর, কুলিক ।
৪৯। যমুনা নদীর শাখা নদী কী কী?
উত্তরঃ ধলেশ্বরী, বুড়িগঙ্গা।
৫০। যমুনা নদীর উপ-নদী কী কী?
উত্তরঃ তিস্তা, ধরলা, করতোয়া, আত্রাই, বাঙালী,
দুধকুমার, যমুনেশ্বরী ।
৫১। মেঘনা নদীর উপনদী কী কী?
উঃ শীতলক্ষ্যা, গোমতি, ডাকাতিয়া ।
৫২। কর্ণফুলী নদীর উপনদী কী কী?
উত্তরঃ চেঙ্গী, মাসলং, সাইনী, হালদা, কাপ্তাই রাথিয়ং, গোয়ালখালী ।
৫৩। মায়ানমার হতে বাংলাদেশে আসা নদী কতটি ও কী কী?
উত্তরঃ তিনটি। নাফ, মাতামুহুরী ও সাঙ্গু।
৫৪। বুড়িগঙ্গা কোন নদীর শাখা নদী?
উত্তরঃ ধলেশ্বরী।
৫৫। পদ্মা নদী কোন জেলার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে?
উত্তরঃ নবাবগঞ্জ (বৃহত্তর রাজশাহী)।
৫৬।মেঘনা নদী কোন জেলার মধ্যদিয়ে প্রবেশ করেছে?
উত্তরঃ সিলেট।
৫৭। ব্ৰহ্মপুত্র নদ কোন জেলার মধ্যদিয়ে প্রবেশ করেছে?
উত্তরঃ কুড়িগ্রাম ।
৫৮। তিস্তা নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে কোন জেলার মধ্যদিয়ে?
উত্তরঃ নীলফামারী জেলা ।
৫৯। তিস্তা নদীর দৈর্ঘ্য কত?
উত্তরঃ ৪১৪ কিঃমিঃ (সিকিমের অংশের দৈর্ঘ্য ১৫১ কিঃ মিঃ, সিকিম পশ্চিমবঙ্গের সীমানা বরাবর ১৯ কিঃ মিঃ, পশ্চিমবঙ্গের ভিতরে ১২৩ কিঃমিঃ, বাংলাদেশের ভিতরে ১২১ কিঃ মিঃ)।
৬০। তিস্তা নদীর উপর ভারতের জলপাইগুড়ির গজলডোবা নামক স্থানে ভারত ব্যারেজ নির্মাণ করে কবে?
উত্তরঃ ১৯৮৫ সালে ।
৬১। বাংলাদেশের সীমা থেকে কত কিঃমিঃ উজানে ভারত তিস্তা নদীর উপর ব্যারেজ নির্মাণ করেন?
উত্তরঃ ৬৫ কিঃমিঃ।
৬২ঃ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের ‘লাইফ লাইন’ বা ‘জীবনরেখা’ বলা হয় কোন নদীকে?
উত্তরঃ তিস্তা নদীকে।
৬২। কর্ণফুলী নদী কোন জেলার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে?
উত্তরঃ পার্বত্য চট্টগ্রাম ও রাঙামাটি মধ্যদিয়ে।
৬৩। নদী সিকস্তি কারা?
উত্তরঃ নদীর ভাঙনে সর্বস্বান্ত জনগণ ।
৬৪ঃ নদী পয়স্তী কারা?
উত্তরঃ নদীর চর জাগলে যারা চাষাবাদ করতে যায় ।
৬৫। কোন নদীর মোহনায় নিঝুম দ্বীপ অবস্থিত?
উত্তরঃ মেঘনা।
৬৬। ব্রহ্মপুত্র নদীর প্রধান শাখার নাম কি?
উত্তরঃ যমুনা।
৬৭। শীতলক্ষ্যা নদীর উৎপত্তি হয়েছে কোথায় থেকে?
উঃ পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে ।
৬৮। বাংলাদেশের প্রধান নদী বন্দর কোনটি?
উত্তরঃ নারায়ণগঞ্জ ।
৬৯। বাংলাদেশের নদী গবেষণা ইনষ্টিটিউট কোথায় অবস্থিত?
উঃ ফরিদপুরে ।
৭০। বাংলাদেশের কোন জেলাটির নামকরণ করা হয়েছে একটি নদীর নামানুসারে?
উত্তরঃ ফেনী ।
৭১। মাওয়া ফেরীঘাট কোন নদীর তারে অবস্থিত।।
উত্তরঃ পদ্মা নদীর তীরে ।
৭২। মাওয়া ফেরীঘাট কোন জেলায় অবস্থিত।
উত্তরঃ মুন্সিগঞ্জ জেলায় ।
৭৩। কাওরাকান্দি ফেরীঘাট কোন জেলায় অবস্থিত।
উত্তরঃ শিবচরের মাদারীপুরে।
৭৪। দৌলতদিয়া ফেরীঘাট কোন জেলায় অবস্থিত?
উত্তরঃ রাজবাড়ি জেলায় ।
৭৫। পাটুরিয়া ফেরীঘাট কোন জেলায় অবস্থিত?
উত্তরঃ মানিকগঞ্জ জেলায় ।
৭৬। আরিচা ফেরীঘাট কোন জেলায় অবস্থিত?
উত্তরঃ মানিকগঞ্জ জেলায় ।
৭৭। নগরবাড়ি ফেরীঘাট কোন জেলায় অবস্থিত?
উত্তরঃ পাবনা জেলায় ।
৭৮। বাহাদুরাবাদ ঘাট কোন জেলায় অবস্থিত?
উত্তরঃ জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জে।
৭৯। জগন্নাথগঞ্জ ঘাট কোন জেলায় অবস্থিত?
উত্তরঃ জামালপুর জেলার সরিষাবাড়িতে।
বাংলাদেশের নদ-নদী সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান টিপাইমুখ বাঁধ
০১। টিপাইমুখ কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ ভারতের মণিপুর রাজ্যের চুরাচাঁদপুর জেলায় (বাংলাদেশের সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ১০০ কি. মি.)।
০২। ভারত সম্প্রতি কোন নদীতে বাঁধ দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে?
উত্তরঃ টিপাইমুখ নামক স্থানে বরাক নদীতে (সুরমা যা পরবর্তীতে মেঘনা নদী নামকরণ করে)।
০৩। টিপাইমুখ ভারতের কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উত্তরঃ মনিপুর
০৪। সম্প্রতি ভারত কোন নদীতে টিপাইমুখ বাধ নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে?
উত্তরঃ বরাক
০৫। তুইভাই ও তুইরয়ং নদীদ্বয়ের মিলিত স্রোতধারার সৃষ্টি হয়েছে কোন নদী?
উত্তরঃ বরাক নদী ।
০৬। তুইভাই ও তুইরয়ং নদীদ্বয়ের সঙ্গমস্থল থেকে কত মিটার দূরে বরাক নদী অবস্থিত?
উত্তরঃ প্রায় ৫০০ মিটার
০৭।ভারত টিপাইমুখ বাঁধ কোন নদীর ওপর নির্মাণ করছে?
উত্তরঃ বরাক নদী
০৮। টিপাইমুখ বাঁধ সিলেট জেলার অমলসীদ থেকে কত কিমি দূরে?
উঃ ১০০ কি.মি. ।
০৯। টিপাইমুখ বাঁধ সমুদ্র সমতল থেকে কত মিটার উঁচুতে?
উত্তরঃ প্রায় ৫৯০ ফুট বা ১৮০ মিটার।
১০। টিপাইমুখ বাঁধের দৈর্ঘ্য কত?
উত্তরঃ ১৫০০ ফুট বা ৫০০ মিটার।
১১। টিপাইমুখ বাঁধের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করা হয় কবে?
উত্তরঃ ২৪ নভেম্বর, ২০০৫।
বিভিন্ন নদীর উপর বাধ
১। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার অভিন্ন নদীর মধ্যে ভারত কতটিতে ব্যারেজ নির্মাণ করেছে?
উত্তরঃ ৬টিতে এবং ১টিতে নির্মাণ চলছে।
ব্যারেজের নাম – যে নদীর উজানে
১. ফারাক্কা ব্যারেজ – গঙ্গা নদীর উজানে
২. মহানন্দা ব্যারেজ – মহানন্দা নদীর উজানে
৩. তিস্তা ব্যারেজ – তিস্তা নদীর উজানে
৪. মনু ব্যারেজ – মনু নদীর উজানে
৫. খোয়াই ব্যারেজ – খোয়াই নদীর উজানে
৬. মহারানী ব্যারেজ – গোমতী নদীর উজানে
৭. কালনি ব্যারেজ (নির্মাণাধীন) – মুহুরী নদীর উজানে
বাংলাদেশের নদ-নদী সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান উৎপত্তিস্থল
বিভিন্ন নদ-নদীর উৎপত্তিস্থল
০১। পদ্মা নদীর উৎপত্তিস্থল – হিমালয় পর্বতের গাঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে।
০২। মেঘনা নদীর উৎপত্তিস্থল – আসামের নাগা মণিপুর পাহাড়ের দক্ষিণে লুসাই পাহাড়।
০৩। ব্রহ্মপুত্র নদের উৎপত্তিস্থল – তিব্বতের কৈলাশ শৃঙ্গের মানস সরোবর হ্রদ থেকে ।
০৪। কর্ণফুলী নদীর উৎপত্তিস্থল – মিজোরামের লুসাই পাহাড়।
০৫। করতোয়া নদীর উৎপত্তিস্থল – সিকিমের পর্বত অঞ্চল ।
০৬। সাঙ্গু নদীর উৎপত্তিস্থল – মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমানার আরাকান পাহাড় ।
০ ৭। হালদানদীর উৎপত্তিস্থল – খাগড়াছড়ির বাদনাতলী পর্বতশৃঙ্গ ৷
০৮। ফেনী নদীর উৎপত্তিস্থল – পার্বত্য ত্রিপুরা পাহাড় ।
০৯। মাতামুহুরী নদীর উৎপত্তিস্থল – লামার মইভার পর্বত ।
১০। যমুনা নদীর উৎপত্তিস্থল – কৈলাশ শৃঙ্গের মানস সরোবর হ্রদ থেকে ।
১১। তিস্তা নদীর উৎপত্তিস্থল – সিকিমের পর্বত অঞ্চল ।
১২। মহানন্দা নদীর উৎপত্তিস্থল – হিমালয় পর্বতমালার মহালদিরাম পাহাড় থেকে ।
১৩। গোমতি নদীর উৎপত্তিস্থল – ভারতের ত্রিপুরা পাহাড়ের সাবরুমে।
১৪। খোয়াই নদীর উৎপত্তিস্থল – ত্রিপুরার আঠারমুড়া পাহাড় থেকে ৷
১৫। মুহুরী নদীর উৎপত্তিস্থল – ত্রিপুরার লুসাই পাহাড় ।
১৬। মনু নদীর উৎপত্তিস্থল – মিজোরামের পাহাড় থেকে ।
১৭। সালদা নদীর উৎপত্তিস্থল – ত্রিপুরার পাহাড় থেকে ।
বাংলাদেশের নদ-নদী সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান শাখা ও উপ-নদী
১। পদ্মা নদীর শাখা নদীঃ মধুমতি, আড়িয়াল খাঁ, ভৈরব, মাথাভাঙ্গা, কুমার, কপোতাক্ষ, শিবসা, পশুর, বড়াল, গড়াই, ইছামতি, নবগঙ্গা, কালীগঙ্গা, চিত্রা, তেঁতুলিয়া, বিষখালী, কীর্তনখোলা, কাউখালী, আগুনমুখা ।
২। পদ্মা নদীর উপ-নদীঃ মহাগঙ্গা, টাঙ্গন, পুর্ভবা, নাগর, কুলিক ।
৩। ব্রহ্মপুত্রের শাখা নদীঃ যমুনা।
৪। যমুনার শাখা নদীঃ ধলেশ্বরী, বুড়িগঙ্গা।
৫। যমুনার নদীর উপনদীঃ তিস্তা, ধরলা, করতোয়া, আত্রাই, কাঙ্গালী, কালজানি, ডোরসা, যমুনেশ্বরী, দুধকুমার, গঙ্গা, তুলসী গঙ্গা, জলঢাকা, নসাব, ছপছাপিয়া, রায়ঢাকা, ধলা, ঘাঘট, বড়াল, ধল, নারদ, বরানই, শিব
৬। মেঘনা নদীর উপ-নদীঃ শীতলক্ষ্যা, গোমতি, ডাকাতিয়া, ধলেশ্বরী, ব্রহ্মপুত্র ।
৭। কর্ণফুলী নদীর উপনদীঃ হালদা, চেঙ্গী, মাসলং, মাইনী, কাপ্তাই, রাখিয়ং, ইছামতি, শিলক, গোয়ালখালী, শ্ৰীমাই ।
বাংলাদেশের নদ-নদী সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান নদীর মিলনস্থল
নদ-নদীর মিলনস্থল
০১। পদ্মা + মেঘনা নদীর মিলনস্থল = চাঁদপুর।
০২। যমুনা + পদ্মা নদীর মিলনস্থল = গোয়ালন্দ ।
০৩। সুরমা + কুশিয়ারা নদীর মিলনস্থল = ভৈরব (আজমিরীগঞ্জ)।
০৪। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র + মেঘনা নদীর মিলনস্থল = ভৈরব বাজার ।
০৫। বাঙালি + যমুনা নদীর মিলনস্থল = বগুড়া ৷
০৬। রূপসা + ভৈরব নদীর মিলনস্থল = খুলনা ।
০৭। তিস্তা + ব্রহ্মপুত্র নদীর মিলনস্থল = কুড়িগ্রামের চিরমারীতে ।
০৮। হালদা + কর্ণফুলী নদীর মিলনস্থল = চট্টগ্রাম ।
বাংলাদেশের নদ-নদী সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান নদীর প্রবেশ
নদ-নদীর প্রবেশ মুখ
নদ-নদী – যে জেলার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ
পদ্মা – নবাবগঞ্জ
মেঘনা(সুরমা ও কুশিয়ারা) – সিলেট
ব্ৰহ্মপুত্ৰ – নাগেশ্বর, কুড়িগ্রাম
নাফ – টেকনাফ, কক্সবাজার
কর্ণফুলি – রাঙামাটি
সাঙ্গু, মাতামুহুরী – বান্দরবান
তিস্তা – নীলফামারী
বাংলাদেশের নদ-নদী সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান তীরের অবস্থিত
নদীর তীরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ শহর/স্থান
স্থানের নাম – নদীর নাম
ঢাকা – বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত
চট্টগ্রাম – কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত
কুমিল্লা – গোমতী নদীর তীরে অবস্থিত
রাজশাহী – পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত
কুষ্টিয়া – গড়াই নদীর তীরে অবস্থিত
শিলাইদহ – পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত
মহাস্থানগড় – করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত
বাংলাবান্দা – মহানন্দা নদীর তীরে অবস্থিত
বরিশাল – কীর্তনখোলা নদীর তীরে অবস্থিত
খুলনা – ভৈরব ও রূপসার মিলনস্থল
সিলেট – সুরমা
ছাতক সুরমা
ময়মনসিংহ – পুরাতন ব্রহ্মপুত্র
দিনাজপুর – পুনর ভবা
ফরিদপুর – আড়িয়াল খাঁ
মাদারীপুর – পদ্মা
যশোর – কপোতাক্ষ নদী
টেকনাফ – নাফ
বগুড়া – করতোয়া
চন্দ্রঘোনা – কর্ণফুলী
ঝিনাইদহ – নবগঙ্গা
টঙ্গী – তুরাগ
গোপালগঞ্জ – মধুমতি
টুঙ্গীপাড়া – মধুমতি
ঘোড়াশাল – শীতলক্ষ্যা
সারদা – পদ্মা
ফেঞ্চুগঞ্জ – কুশিয়ারা
নলছিটি – সুগন্ধা
সিরাজগঞ্জ – যমুনা
কাপ্তাই – কর্ণফুলী
গাজীপুর – তুরাগ
পাবনা – ইছামতি
মুন্সিগঞ্জ – ধলেশ্বরী
চাঁদপুর – মেঘনা
সুনামগঞ্জ – সুরমা
মংলা – পশুর
নারায়ণগঞ্জ – শীতলক্ষ্যা
আশুগঞ্জ – মেঘনা
ঝালকাঠি – বিশষখালি
ঠাকুরগাঁও – টাঙ্গন
ভৈরব – মেঘনা
শেরপুর – কংশ
রংপুর তিস্তা
টাঙ্গাইল – যমুনা
পঞ্চগড় – করতোয়া
কুড়িগ্রাম – ধরলা
কক্সবাজার – নাফ
ফেনী – ফেনী
বাংলাদেশের নদ-নদী সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান উপরে দেওয়া সকল প্রশ্ন উত্তর ভালো করে মূখস্ত করুন ও জানুন। কেননা বাংলাদেশের নদ-নদী সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান জানা থকালে আপনি আপনার পরীক্ষায় আসা বাংলাদেশের নদ-নদী সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন। বাংলাদেশের নদ-নদী সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান আরো জানতে দেখুন ইউকিপিডিয়া বাংলাদেশ
শেয়ার করুন